Not known Facts About কবিতা, গল্প, গদ্য

ইমদাদুল হক মিলন ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী ইন্দ্রনীল সারথি ইলা গুপ্ত ইসফানদিয়োর আরিওন ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী ঈ

কবি খুব সহজ সরল ইঙ্গিতময় বাক্যের মাধ্যমে এক ধর্ষিতা কিশোরীর কথা বলেছেন, যে আমাদেরই কারো বোন। মসজিদের কোরআন শিক্ষক হুজুর যখন কিশোরীর মুখে গামছা গুজে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তখন কিশোরীর কাছে হুজুর নামের এক দানবকে সে কীভাবে দেখবে? এ সংবাদ বাতাসে ছড়িয়ে যায়, পৌঁছে যায় চারপাশে। কিন্তু সেই বোন মেঘ অদৃশ্য শক্তিতে বিশ্বাস হারিয়ে দেবতারূপী কোন মানুষের কাছেই আশ্রয় নেয় যেখানে রয়েছে বোনের স্নেহ। কবি সরল গদ্যের মাধ্যমে একটা ঘটনাকে সুন্দর করে কবিতায় রূপ দিয়েছেন। স্বাভাবিক গদ্য কথন কী সুন্দর কবিতা হয়ে যায়। ধর্ষণ শব্দটি কোথাও তিনি একবারও ব্যবহার করেননি। কিন্তু ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমি দুইবার ধর্ষণ শব্দটি ব্যবহার করেছি। এখানেই গদ্য কবিতা রচনায় কবির স্বার্থকতা।

তঞ্চঙ্গা একটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নাম।

এই কবিতায় নিম্নরেখাঙ্কিক ‘গোল’ শব্দটি দুইবার ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু দুই স্থানে এর অর্থের পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম ‘গোল’ দিয়ে পূর্ণিমাকে বোঝানো হয়েছে। আর দ্বিতীয় ‘গোল’ দিয়ে প্রিয়ার বিশেষ অঙ্গকে নির্দেশ করা হয়েছে। কবিতায় এটাই যমক।

হাঁটাহাঁটি তার মেরুদ-হীণ। যেন এক ছুঁচাল আঁধার!

সব শিল্পকলার ভগিনী এবং সব ভাবধারার জন্মদাত্রীই হল কবিতা।-উইলিয়াম কনজারভ

সোনালু প্রেম শালুক সংসার মাহমুদ আল ফাহাদ

মন্তব্য: বিরহের আগুনেও ভালোবাসা বেঁচে থাকার করুণ চিত্র, কবি। শুভকামনা

কবিতাটির শুরুতে লালনের একটি গানের কিছু অংশ উল্লেখ করে কবিতাটি শুরু করেন কবি। গানটি হলো— ‘কি কব সেই পড়শীর কথা/ও তার হস্তপদ স্কন্দ মাথা নাইরে,/ও সে ক্ষণেক থাকে শূন্যের উপর/ক্ষণেক ভাসে নীরে’। কবিতাটি এক অদ্ভুত ঘোরে ফেলে দেয়। গদ্যে লেখা কিন্তু ভিন্ন এক স্পন্দন দোলা দেয় গভীর বোধের ভেতর। লালনের সেই পড়শীর মতোই কবিতা ধরা দেয় না ছোঁয়া দেয় না তবুও যেন এক উজ্জ্বল আঁধার আমাদের দোলা দেয়। ঠিক মামদো মানুষের মতো। কবি যখন স্ত্রীর শিশ্নের কথা বলে তখন আমাদের বোধে কম্পন দিয়ে ওঠে। নারীর স্বাভাবিক শারীরিক গড়নে আমাদের কটকা লাগে। ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। চেতন ও অবচেতনের মাঝে যেন একটি সেতু তৈরি হয়। গদ্যটি আর গদ্য থাকে না। কবিতা হয়ে উঠে।

দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড(ইউ পি এল)

পথের ওপর নিষিদ্ধ প্ল্যাকার্ড সেঁটে প্রাচীন ক্রীতদাসের মতো বাজপাখির ঝলসানো

সহসম্পর্ক ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্য

এখন এ প্রশ্নের উত্তর দেয় শক্ত ব্যাপার। এ প্রশ্নের উত্তরের দিকে পরে আসছি। আগে আমরা গদ্যের কথায় আসি। গদ্যে কি আসলে কোন ছন্দ আছে? গদ্য মানেতো সরল কথা মাত্র।

মান্ধাতার আমলের ওই শীর্ণ ঘর-দুয়ার, গামছা-তবন, সায়া-ব্লাউজ আর কত? এহন নতুনের জয়গান। নতুন ধারার বাড়িটা ঠিক এমন আধুনিক আর উত্তরাধুনিক থেইকে ভিন্নতর। সাদামাটা তবে আধুনিকের থেইকে খরচাভার না হৈয়ে গাছপালায় থাকবে আবৃত। নির্জনতা, উন্মুক্ততা আর কোলাহলমুক্ততা। বাড়ির ফটক তুলনামূলক আধুনিক থেকে বৃহৎ। মানুষ চলাচলে একে অন্যের লগে যাতে হাতের কোনো স্পর্শ না লাগে। মোদ্দা কথা মহামারী বাধাগ্রস্ত হয়। স্পর্শ আশংকায় বেডরুমও হৈবে বড়। জরুরি না হইলে এসির দরকার নাই। ফ্যান বা প্রকৃতির বাতাসই যথেষ্ট। আধুনিকের মত কম জানালা নয়, বাতাস চলাচলের জন্যে বেশি সংখ্যক জানালা রৈবে। রৈবে ঝর্ণা, কিচেন ও বাথরুম আধুনিক স্টাইলে। গৃহের রংগে থাকবে অন্য চড়া রং থেকে সবুজের আধিপত্য। যাহা শান্তির প্রতীক। স্বাস্থ্যকর। ধূসর রঙও চলবে। গৃহের নকশা হবে প্রকৃতি বান্ধব। আধুনিক লেখকরা পরের ধানে মই চেলে একশো বছর রাজত্ব কইরেছে কিন্তু করোনা পরিবর্তিত পৃথিবীর সাহিত্য হবে এর বিপরীত। মারীচক্র সিড়ি বেয়ে করোনা ও প্রকৃতির অভিশাপে here পৃথিবী যে তার চিত্র পালটাচ্ছ, জরাজীর্ণ আধুনিক মার্কা গতানুগতিক লেখকদের দৃষ্টি সেখানে ছানিকাতর। আধুনিকবাদীরা ভাবিতেছেন, নতুন ধারায় তাহারা আরও পরে করিবে। নতুন ধারার সফলতা দেখার জন্যে আর কত ঘাপটি মাইরে বইসে থাকবেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *